Cyclone Sitrang Weather Update: সাইক্লোন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা, নিম্নচাপের প্রভাব শুরু? পূর্বাভাস

এবারের দুর্গাপুজোয়ে সপ্তমী,সাইক্লোনতৈরিহওয়ারসম্ভাবনানিম্নচাপেরপ্রভাবশুরুপূর্বাভাস অস্টমী, নবমীতে দেখা মিলেছিল বৃষ্টির। এবার কালীপুজোতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস। কারণ কালীপুজোর আগে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর এবং মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছে যে কালীপুজোর আগে ফের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যেতে পারে।বর্ষা বিদায়ের পর কালীপুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, আগে এমন আশ্বাসই দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু ফের নিম্নচাপের চোখরাঙানিতে প্রবল উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। মৌসমের ভবনের তরফে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় তৈরি ঘূর্ণাবর্ত এখন উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে এবং ক্রমশ নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর। ২২ তারিখ সকালে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২৩ তারিখ নাগাদ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই সাইক্লোনের সম্ভাব্য ল্যান্ডফল ২৪ তারিখের মধ্যেই হতে পারে বলে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। যদিও এর অভিমুখ কোন দিকে হবে এটা এখনো বলা যাচ্ছে না।বুধবার সকালে কলকাতার দিন শুরু হয়েছে মেঘলা আকাশ নিয়েই। বেলা বাড়তেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী একাধিক জেলাতে। ওয়া অফিস সূত্রে খবর, উপকূলবর্তী তিন জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই চব্বিশ পরগনাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বলেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। আর তার প্রভাবেই এই বৃষ্টিপাত হতে পারে।এদিন সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়াবে। এই ঘূর্ণাবর্ত অচিরেই পরিণত হবে নিম্নচাপে। নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এই ঘূর্ণাবর্ত মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত মধ্য বঙ্গোপসাগরে হাজির হওয়ার পর আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় কবে বা কোথায় তৈরি হবে এবং কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে জানায়নি হাওয়া অফিস। মনে করা হচ্ছে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলের যে কোনও জায়গায় এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। আবহবিদরা এ-ও জানিয়েছেন, ঋতু বদলের আবহে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বদলেও যেতে পারে। ফলে কালীপুজোয় রাজ্যে সত্যি বৃষ্টি হবে কিনা তা এখনও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।উত্তরবঙ্গে এদিন দেখা মিলেছে রোদ ঝলমলে আকাশ। আপাতত বর্ষণের কোনও পূর্বাভাস নেই। তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। বিশেষ করে পাহাড়ে নামছে পারদ। তবে দক্ষিণবঙ্গে কালীপুজোয় ফের বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। কালীপুজোর ঠিক আগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে সবটাই নির্ভর করছে আবহাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখের উপরে। এই দুই ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই উত্তুরে হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে বাধা প্রাপ্ত হবে। তার জেরে শীতের পারদ পতনেও এবার দেরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।